বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

আবুল বাশার, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই মাসের বকেয়া বেতন, গত ঈদুল ফিতরের বোনাস এবং চাকুরী অবসানের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবীতে রোর ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাওয়ায় কলকারখানা ডিআইজি’র কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে দুই ঘন্টা পর অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার কাঠালী পল্লী বিদুৎ এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক ও পুলিশ সুত্র জানায়, গেলো ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদুল ফিতরের বোনাসসহ চাকুরী অবসানের চূড়ান্ত পাওনাদি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে গতকাল ১১ মে পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরিশোধ করা হয়নি। কারখানার জুনিয়র অপারেটর তোফায়েল আহমেদ বলেন, গেলো ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদুল ফিতরের বোনাসসহ চাকুরী অবসানের চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ না করেই গত ২৬ মার্চ লে-অফ ঘোষণা করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা লিখিতভাবে বকেয়া পরিশোধে আশ্বাস দিলেও বেতনাদি পরিশোধ করেননি এবং কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সামনে স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। তাই মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘ সময় অবরোধের কারণে ফোরল্যান মহাসড়কে দুই পাশে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়, এসময় দূরপাল্লার যাত্রীরাও পড়েন চরম ভোগান্তিতে। পরে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মডেলা থানা পুলিশ, হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাওয়ায় কলকারখানা ডিআইজি’র কার্যলায় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে দুই ঘন্টা পর অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এবিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

‘শিল্প পুলিশ ময়মনসিংহ-৫ এর পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার জানান, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। কারখানা মালিক দেশের বাহিরে অবস্থান করায়, মালিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ইতিমধ্যে তারা জানিয়েছেন ব্যাংক লোন নিয়ে দ্রুতই কারখানা চালু করা হবে এবং আমরা চেষ্টা করছি আগামী ২৫ মে এর মধ্যে যেন শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা যায় সে লক্ষে শিল্প পুলিশ কাজ করছে।’

দীর্ঘদিন বেতন বকেয়া থাকায় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বাসা ভাড়া ও দোকান বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না এবং অনেক শ্রমিকদের ঘরে খাবার পর্যন্ত নেই, ধারদেনা করে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com